Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

সুন্দরবন বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এ-বনের জীববৈচিত্র্য বিশ্বের যে কোনো ম্যানগ্রোভ বনের তুলনায় অনেক বেশি সমৃদ্ধ। সুন্দরবন ১৮৭৮ সনে সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৭৯ সনে সুন্দরবনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বভার বন বিভাগ গ্রহণ করে। খুলনা সার্কেল সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চল নিয়ে গঠিত। সুন্দরবন দুটি বন বিভাগে বিভক্ত: সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সদর দফতর খুলনায় এবং সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের সদর দফতর বাগেরহাটে অবস্থিত। সুন্দরবনের মোট আয়তন ৬০১৭ বর্গকিলোমিটার। তন্মধ্যে স্থলভাগ ৪,১৪৩ বর্গকিলোমিটার (৭০%) এবং জলভাগ ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার (৩০%)। সমগ্র সুন্দরবন খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে বিস্তৃত। সুন্দরবনের প্রতিবেশ সেবার ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৩.৫ মিলিয়ন লোক নির্ভরশীল। প্রশাসনিকভাবে সুন্দরবনে ২টি বিভাগ, ৪টি রেঞ্জ, ১৬টি স্টেশন, ৫৬টি টহলফাঁড়ি, ৫৫টি কম্পার্টমেন্ট রয়েছে। এছাড়া ৩টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কেন্দ্র এবং ৩টি বিশেষায়িত বণ্যপ্রানী (ডলফিন) অভয়ারণ্য বিদ্যমান। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সনে UNESCO সুন্দরবনের ৩টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যকে ৭৯৮তম World Heritage Site হিসেবে ঘোষণা করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সনে নীলকমলে World Heritage Site-এর নামফলক উন্মোচন করেন। সুন্দরবনের জলভাগ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হওয়ায় ১৯৯২ সনের ২১ মে থেকে এটি Ramsar Site হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবন জীববৈচিত্র্যের আধার। এখানে ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড এবং ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাওয়া যায়। বন্যপ্রাণীর মধ্যে  ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির ‍উভচর, ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ২১০ প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মলস্কা। বর্তমান শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি। সুন্দরবনে অবৈধ বনজদ্রব্য পাচার রোধকল্পে বন বিভাগ নিজস্ব জনবল দিয়ে টহল জোরদার করেছে। বর্তমানে সাইবার ট্রাকারসহ স্মার্ট প্যাট্রোলিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাছাড়া সুন্দরবনে বনদস্যুদের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বাঘ সংরক্ষণ, নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর বিকল্প জীবিকায়ন সুন্দরবনের উদ্ভিদ ও প্রাণীর ওপর বিভিন্ন গবেষণাসহ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুন্দরবন সংরক্ষণ এবং সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় সিলস (SEALS) , স্ট্রেংদেনিং রিজওনাল কোঅপারেশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন, (SRCWP), ক্রেল (CREL) ও বাঘ প্রকল্প নামে কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে ও হচ্ছে।